সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: কুষ্টিয়ার কুমারখালির কয়া কলেজের সামনে স্থাপন করা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমানসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিন করে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
সোমবার কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কুমারখালী আমলি আদালতের বিচারক সেলিনা খাতুন প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
যাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে তারা হলেন- কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রায়ডাঙা গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে আনিসুর রহমান আনিস, কয়া গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে হৃদয় আহমেদ এবং একই উপজেলার ছেঁউড়িয়া মণ্ডলপাড়ার নাজিম উদ্দিনের ছেলে সবুজ হোসেন। কলেজ পরিচালনা পর্ষদ ও কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তিনজনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হলে বিচারক তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া কলেজের সামনে স্থাপন করা বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত। কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের রেশ কাটতে না কাটতে বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ অবস্থায় অপরাধীদের ধরতে মাঠে নামে পুলিশ।
ঘটনার পরদিন শুক্রবার সকালে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও অধ্যক্ষের সঙ্গে ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান আনিসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়। পরে আনিসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আনিসের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার রাতে অন্য দুজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত বলেন, কলেজ ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়েছে বলে গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুরো ঘটনা জানা যাবে।